আলীমুল হাকীম আল্লাহ পাক-এর জন্যই সমস্ত প্রশংসা। উনার পেয়ারা হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বেশুমার দুরূদ ও সালাম।
আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীর জন্য মানুষকে যমীনে প্রেরণ করেছেন। তবে আক্ষরিক অর্থে শুধুই ইবাদত-বন্দেগীর জন্যে নয়। শুধুই ইবাদত বন্দেগী হলে ফেরেশ্তারাই যথেষ্ট ছিল। সে প্রেক্ষিতে খোদা তায়ালার মুহব্বত-মারিফত হাছিলই জ্বিন-ইনসান প্রেরণের মূল উদ্দেশ্য বলে সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম একমত।
আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে মানুষের প্রতি খোদা পাক-এর বিশেষ দানটি হলো- তার অন্তর, তার দিল বা তার ক্বলব। যা মূলতঃ খোদা পাক-এর মুহব্বত-মারিফত সন্নিবেশ করার স্থল। “মু’মিনের ক্বলব আল্লাহ পাক-এর আরশ” হাদীছ শরীফ-এর এই অভিব্যক্তি তারই প্রমাণ।
মাখলুক হিসেবে মহান মালিকের জাত পাক-এর পরিচয় স্বীয় ক্বলবে অনুধাবন, উনার ছিফতসমূহের সম্যক জ্ঞান আহরণই মানব ক্বলবের কাঙ্খিত কামিয়াবী, বাঞ্ছিত বিকাশ। এ ধরনের বিকশিত, নূরানী ক্বলবসম্পন্ন ব্যক্তিই আল্লাহ পাক-এর একান্ত অনুগত। উনারাই আরিফ। উনারাই আলিম। তাদের শানেই ইরশাদ হয়েছে, “সাবধান! আলিমরাই আল্লাহ পাককে সবচেয়ে বেশি ভয় করে।” যোগ্যতার মাপকাঠিতে উনারাই উলিল-আমর।
বলাবাহুল্য, আজ মুসলিম সমাজের আমলের যে করুণ অবস্থা তা কেবল হতাশাজনকই নয় বরং গভীর শঙ্কামূলক। গান-বাজনা, সিনেমা, টিভি, ভিসিআরসহ হাজারো অশ্লীল আর অনৈসলামিক কাজই বর্তমানে মানুষের মনের মূল খোরাক হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এসব থেকে ফিরে আসার জন্য সাধারণ উলামাদের পুনঃ পুন আহবান অরণ্যে রোদনে পরিণত হচ্ছে। মুলতঃ ক্বলব সংশোধন তথা ইল্মে তাছাউফ অর্জনেই রয়েছে এর সমাধান।
প্রসঙ্গতঃ ক্বলবী যিকিরই এ ইল্মের প্রথম সোপান। ক্বলবসহ আরো নয় লতিফা, যথা- রূহ, ছির, খফি, আখফা, নফছ, আব, আতেশ, খাক, বাদ, মোট দশটি লতিফায়ই যখন যিকির জারী হয়, তখন মাথার প্রতিটি চুল থেকে আরম্ভ করে শরীরের সর্বাংশে আল্লাহ আল্লাহ যিকির জারী হয়ে যায়।
অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মানুষের পাপ তার পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত।
বলাবাহুল্য, খাহেশাত আর নফছানিয়াত সম্বলিত প্রবৃত্তি প্রচলিত পাপাচারে লিপ্ত হতে সদাই উন্মুখ থাকে। কিন্তু ক্বলবী যিকিরের মাধ্যমে নফছের এই কুপ্রবৃত্তির আমূল পরিবর্তন সম্ভব। জবরদস্তিমূলকভাবে নয়, স্বতঃস্ফুর্তরূপেই নফছের ইসলাহ্ তথা ইতমিনান লাভ সম্ভব। ইরশাদ হয়েছে, “সাবধান আল্লাহ পাক-এর যিকির দ্বারাই দিল ইতমিনান লাভ করে।”
উল্লেখ্য, এ সমাধানটি কেবল আম মুসলমানগণের জন্যই নয় বরং মাওলানা, মুফ্তী, তথা শায়খুল হাদীছদের জন্যও আরো গভীরভাবে প্রযোজ্য। কারণ ক্বল্বী যিকির জারী হওয়া ব্যতিরেকে শুধু ইল্ম দ্বারা কেউ ফায়দা হাছিল করতে পারে না। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ক্বিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে ঐ আলিম যে তার ইল্ম দ্বারা ফায়দা হাছিল করতে পারেনি।”
মূলতঃ এরা নিজেদের হিদায়েতের ব্যাপারেই পুরো অযোগ্য। এদের নেতৃত্বে, এদের কর্মসূচিতে উম্মাহ্্র গৌরব পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা নিছক বাতুলতা মাত্র।
এরা শায়খুল হাদীছ, মাহিউদ্দিন, মাওলানা, খতীব, পীর, আমীর, মুফতী ইত্যাদির আবরণে থাকলেও আসলে এদের অন্তরে ক্বল্বী যিকির আদৌ জারী নেই।
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা ঐ ব্যক্তির অনুসরণ করো না যার কাজগুলো শরীয়তের খিলাফ হওয়ায়, নফছের অনুগামী থাকায়, তার ক্বলব যিকির থেকে গাফিল রয়েছে।” (সূরা কাহাফ/৯৮)
স্মর্তব্য, কেবল ব্যক্তিগত ইসলাহ্ই নয়, আল্লাহ পাক-এর মুহব্বত-মা’রিফত লাভসহ তাঁর সন'ষ্টির জন্য খিলাফত আলা মিনহাজিন্্ নুবুওওয়াহ্্র কাজ করার ক্ষেত্রেও ক্বলবী যিকিরের সমৃদ্ধতাই মূল আঞ্জাম।
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ তথা মুজাদ্দিদে আ’যম-এর নেক ছোহবতের মাধ্যমে খুব সহজেই ক্বল্বী যিকির তথা হাক্বীক্বী সুলতানুল আযকারসহ খিলাফত আলা মিনহাজিন্ নুবুওয়ার নিয়ামত নছীব করুন। (আমীন)More Info
আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীর জন্য মানুষকে যমীনে প্রেরণ করেছেন। তবে আক্ষরিক অর্থে শুধুই ইবাদত-বন্দেগীর জন্যে নয়। শুধুই ইবাদত বন্দেগী হলে ফেরেশ্তারাই যথেষ্ট ছিল। সে প্রেক্ষিতে খোদা তায়ালার মুহব্বত-মারিফত হাছিলই জ্বিন-ইনসান প্রেরণের মূল উদ্দেশ্য বলে সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম একমত।
আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে মানুষের প্রতি খোদা পাক-এর বিশেষ দানটি হলো- তার অন্তর, তার দিল বা তার ক্বলব। যা মূলতঃ খোদা পাক-এর মুহব্বত-মারিফত সন্নিবেশ করার স্থল। “মু’মিনের ক্বলব আল্লাহ পাক-এর আরশ” হাদীছ শরীফ-এর এই অভিব্যক্তি তারই প্রমাণ।
মাখলুক হিসেবে মহান মালিকের জাত পাক-এর পরিচয় স্বীয় ক্বলবে অনুধাবন, উনার ছিফতসমূহের সম্যক জ্ঞান আহরণই মানব ক্বলবের কাঙ্খিত কামিয়াবী, বাঞ্ছিত বিকাশ। এ ধরনের বিকশিত, নূরানী ক্বলবসম্পন্ন ব্যক্তিই আল্লাহ পাক-এর একান্ত অনুগত। উনারাই আরিফ। উনারাই আলিম। তাদের শানেই ইরশাদ হয়েছে, “সাবধান! আলিমরাই আল্লাহ পাককে সবচেয়ে বেশি ভয় করে।” যোগ্যতার মাপকাঠিতে উনারাই উলিল-আমর।
বলাবাহুল্য, আজ মুসলিম সমাজের আমলের যে করুণ অবস্থা তা কেবল হতাশাজনকই নয় বরং গভীর শঙ্কামূলক। গান-বাজনা, সিনেমা, টিভি, ভিসিআরসহ হাজারো অশ্লীল আর অনৈসলামিক কাজই বর্তমানে মানুষের মনের মূল খোরাক হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এসব থেকে ফিরে আসার জন্য সাধারণ উলামাদের পুনঃ পুন আহবান অরণ্যে রোদনে পরিণত হচ্ছে। মুলতঃ ক্বলব সংশোধন তথা ইল্মে তাছাউফ অর্জনেই রয়েছে এর সমাধান।
প্রসঙ্গতঃ ক্বলবী যিকিরই এ ইল্মের প্রথম সোপান। ক্বলবসহ আরো নয় লতিফা, যথা- রূহ, ছির, খফি, আখফা, নফছ, আব, আতেশ, খাক, বাদ, মোট দশটি লতিফায়ই যখন যিকির জারী হয়, তখন মাথার প্রতিটি চুল থেকে আরম্ভ করে শরীরের সর্বাংশে আল্লাহ আল্লাহ যিকির জারী হয়ে যায়।
অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মানুষের পাপ তার পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত।
বলাবাহুল্য, খাহেশাত আর নফছানিয়াত সম্বলিত প্রবৃত্তি প্রচলিত পাপাচারে লিপ্ত হতে সদাই উন্মুখ থাকে। কিন্তু ক্বলবী যিকিরের মাধ্যমে নফছের এই কুপ্রবৃত্তির আমূল পরিবর্তন সম্ভব। জবরদস্তিমূলকভাবে নয়, স্বতঃস্ফুর্তরূপেই নফছের ইসলাহ্ তথা ইতমিনান লাভ সম্ভব। ইরশাদ হয়েছে, “সাবধান আল্লাহ পাক-এর যিকির দ্বারাই দিল ইতমিনান লাভ করে।”
উল্লেখ্য, এ সমাধানটি কেবল আম মুসলমানগণের জন্যই নয় বরং মাওলানা, মুফ্তী, তথা শায়খুল হাদীছদের জন্যও আরো গভীরভাবে প্রযোজ্য। কারণ ক্বল্বী যিকির জারী হওয়া ব্যতিরেকে শুধু ইল্ম দ্বারা কেউ ফায়দা হাছিল করতে পারে না। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ক্বিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে ঐ আলিম যে তার ইল্ম দ্বারা ফায়দা হাছিল করতে পারেনি।”
মূলতঃ এরা নিজেদের হিদায়েতের ব্যাপারেই পুরো অযোগ্য। এদের নেতৃত্বে, এদের কর্মসূচিতে উম্মাহ্্র গৌরব পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা নিছক বাতুলতা মাত্র।
এরা শায়খুল হাদীছ, মাহিউদ্দিন, মাওলানা, খতীব, পীর, আমীর, মুফতী ইত্যাদির আবরণে থাকলেও আসলে এদের অন্তরে ক্বল্বী যিকির আদৌ জারী নেই।
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা ঐ ব্যক্তির অনুসরণ করো না যার কাজগুলো শরীয়তের খিলাফ হওয়ায়, নফছের অনুগামী থাকায়, তার ক্বলব যিকির থেকে গাফিল রয়েছে।” (সূরা কাহাফ/৯৮)
স্মর্তব্য, কেবল ব্যক্তিগত ইসলাহ্ই নয়, আল্লাহ পাক-এর মুহব্বত-মা’রিফত লাভসহ তাঁর সন'ষ্টির জন্য খিলাফত আলা মিনহাজিন্্ নুবুওওয়াহ্্র কাজ করার ক্ষেত্রেও ক্বলবী যিকিরের সমৃদ্ধতাই মূল আঞ্জাম।
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ তথা মুজাদ্দিদে আ’যম-এর নেক ছোহবতের মাধ্যমে খুব সহজেই ক্বল্বী যিকির তথা হাক্বীক্বী সুলতানুল আযকারসহ খিলাফত আলা মিনহাজিন্ নুবুওয়ার নিয়ামত নছীব করুন। (আমীন)More Info
No comments:
Post a Comment