Friday, October 9, 2009

We Get The Rwahmat Of Allah Pak If We Achieve The Sohobot(Company) Of Awliaye Kiram Rwahmatullahi Alaihim

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্‌ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দা ও উম্মত তথা কুল-কায়িনাতের জন্য যেরূপ রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত ইত্যাদি লাভের কারণ তদ্রুপ উনার বিছাল শরীফ-এর পর উনার যারা খাছ প্রতিনিধি, নায়িব ও ওয়ারিছ যামানার মহান মুজাদ্দিদগণ তাঁরাও কুল-কায়িনাতের জন্য রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত ইত্যাদি লাভের কারণ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ওলীআল্লাহগণের যমীনে আগমন ও অবস্থান আমভাবেই তো যমীনবাসীর জন্য রহমতস্বরূপই তবে উনাদের এমন কতক বিশেষ মুহূর্ত বা সময় রয়েছে যে সময়ে উনাদের ছোহবত ও খিদমতকারীগণ আরো বেশি পরিমাণে রহমত লাভ করে থাকেন। ফলে তাদের জন্য আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নৈকট্য লাভ নিশ্চিত হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, ওলীআল্লাহগণের সেই বিশেষ মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি হলো উনাদের বিবাহ-শাদী মুবারকের মুহূর্ত। যা মূলতঃ আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশে ও অনুসরণের নিমিত্তে সম্পাদিত হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক দাতা আর নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বণ্টনকারী। এছাড়াও নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন রহমতুল্লিল আলামীন।
নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিছাল মুবারকের পর সেই নিয়ামত, রহমত বণ্টন করে থাকেন যামানার মুজাদ্দিদগণ। এ ধারাবাহিকতা ক্বিয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে। মুজাদ্দিদগণের আহলে বাইতগণকেও তৈরি করা হয় বিশেষভাবে মানুষকে নিয়ামত পৌঁছানোর লক্ষ্যে; যা মূলতঃ খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মহান আল্লাহ পাক বলেন, “আপনার আহলে বাইতকে আমি পবিত্র থেকে পবিত্রতম করে সৃষ্টি করেছি।” এই আয়াত শরীফ-এর পূর্ণ মিছদাক হচ্ছেন যামানার মুজাদ্দিগণের আহাল-ইয়ালগণ। মূলতঃ যামানার মুজাদ্দিদ-এর আহলে বাইতগণের যমীনে উপস্থিতি এবং উনাদের জীবন মুবারকে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার কারণ মূলতঃ সেই সময়ের যমীনবাসীকে নিয়ামত, রহমত, সাকীনা, ইলম-আমল, সমঝ দানের লক্ষ্যে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর শাদী মুবারক হয় স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর নির্দেশে। উম্মতের পক্ষে এর সকল কারণ কোনদিন অনুধাবন করা সম্ভব নয়। কিন্তু যতটুকু মানুষ উপলব্ধি করতে পারে তা হচ্ছে- নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পর ওহীর ইলম ব্যতীত সকল ইলম মানুষ শিখতে পেরেছে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর কাছ থেকে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মুজাদ্দিদগণের সকল কাজের নেপথ্যে থাকে গভীর হিকমত; যা সাধারণের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত অনুযায়ী সকল আওলিয়া কিরামগণের সমগ্র জীবন রহমতপূর্ণ তবে বিশেষ কিছু দিন- বিলাদত মুবারক, শাদী মুবারক, বিছাল মুবারক এছাড়াও আরও কিছু বিশেষ দিন রহমতের দিন যেদিন অসংখ্য অগণিত রহমত নাযিল করা হয়, মানুষকে ক্ষমা করা হয়, নাজাত দেয়া হয়। মানুষ যার কমই উপলব্ধি করে। কারণ মহান আল্লাহ পাক বলেন, মানুষকে অল্প ইলম দেয়া হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, বর্ণিত রয়েছে, ইমামুল আইম্মাহ হযরত ফরিদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দরবার শরীফ-এর লঙ্গরখানার এক খাদিম তিনি একবার বাজার-সদায় আনার জন্য বাজারে গেলেন এবং বাজারে গিয়ে দেখলেন, হযরত ফরিদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর খালাতো ভাই আল্লাহ পাক-এর ওলী হযরত বাহাউদ্দীন জাকারিয়া মুলতানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঘোড়ার পিঠে চড়ে বাজারের অলিতে-গলিতে ঘুরছেন। তা দেখে খাদিম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ পাক-এর ওলী! আপনাকে তো সাধারণতঃ বাজারে দেখা যায় না। কিন্তু আজ বাজারে আসার কী কারণ? আল্লাহ পাক-এর ওলী বললেন যে, আজ আমার প্রতি আল্লাহ পাক ইলহাম করে জানিয়েছেন, হে বাহাউদ্দীন জাকারিয়া মুলতানী! আজ সারা দিন আপনাকে যারা দেখবে, আপনার সাথে মুছাফাহা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে জান্নাত দান করবো। সুবহানাল্লাহ!
এটা শুনে খাদিম কিছু সময় উনার ছোহবতে ব্যয় করলেন। ফলে উনি দেরিতে সদায় নিয়ে দরবারে উপস্থিত হলেন উনার দেরিতে উপস্থিত হওয়া দেখে হযরত ফরিদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁকে ডেকে বললেন হে খাদিম! বাজার থেকে আসতে দেরি হলো কেন? খাদিম বিনীত স্বরে ক্ষমা চাইলেন অতঃপর বললেন, হুযূর! আজকে আমার একটা খোশ নছীব হয়েছে, শায়খ জানতে চাইলেন, কি খোশ নছীব হলো তোমার? খাদিম বললেন, আপনার যিনি খালাতো ভাই হযরত বাহাউদ্দীন জাকারিয়া মুলতানী রহমুতল্লাহি আলাইহি উনাকে আল্লাহ পাক ইলহাম করেছেন যে, আজকে যারা উনাকে দেখবে তাদেরকে ক্ষমা করে জান্নাত দান করবেন। তাই উনাকে দেখার আমার সৌভাগ্য হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উদাহরণ হিসেবে বলেন, নবী-রসূলণের আগমন রহমতের কারণেই হয়ে থাকে তথাপি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম-এর উম্মতের জন্য যেদিন খাঞ্জা ভরে খাবার নাযিল করা হয় সেদিনটিকে তা’যীম-তাকরীম না করলে আল্লাহ পাক ভয়ানক শাস্তি দিবেন বলে ইরশাদ করেন। অর্থাৎ সেই দিনটি ছিল বিশেষভাবে সম্মানিত এবং রহমতপূর্ণ দিন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী কালামুল্লাহ শরীফ-এর আয়াতে কারীমা উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ পাক-এর রহমত ওলীআল্লাহগণের নিকটবর্তী। শুধু তাই নয়, যারা আল্লাহ পাক-এর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা, মাহবুব ওলী উনাদের জীবনের বিশেষ দিনগুলোতেও আল্লাহ পাক অশেষ নিয়ামত, রহমত, সাকীনা নাযিল করেন। সেই দিনটিকে যারা পান, যারা তা’যীম-তাকরীম করেন, যারা উপস্থিত হন তাদের উপরও রহমত, সাকীনা নাযিল করেন। মূলত নাজাতের উপলক্ষ হয়। তাই বলা হয়, “রহমতে খোদা বাহানা মি জুইয়াদ” অর্থাৎ আল্লাহ পাক বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য ওসীলা তালাশ করেন। তাই আমরা দেখতে পাই যে, পূর্ববর্তী অনেক ওলীআল্লাহগণকে বিশেষ বিশেষ দিন ইলহাম-ইলকা করা হয়েছে সেদিন সেই ওলীআল্লাহকে যিনি দেখবেন, তা’যীম-তাকরীম করবেন তাদের ক্ষমা করা হবে, নাজাত দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মূলতঃ ওলীআল্লাহগণ মানুষকে জান্নাতী করার লক্ষ্যে, নাজাত দেবার লক্ষ্যে অসংখ্য জাল বিস্তার করেন যা মানুষ কমই উপলব্ধি করে। -০-More info



No comments:

Post a Comment